এক মাসে রিজার্ভ কমছে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার

বেঙ্গালি ব্লগার
3 Min Read

বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ এক মাসে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের যে হিসাব করে, তাতে গত জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। জুলাই শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯ কোটি ডলারে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব করে। তার মধ্যে একটি মোট রিজার্ভ। অন্যটি আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ। এর বাইরে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভেরও একটি হিসাব রয়েছে। তবে সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে না। মোট রিজার্ভ হিসাবে থাকে দায়দেনাসহ রিজার্ভের পরিমাণ। আর বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব হয় কিছু দায়দেনা বাদ দিয়ে। আর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হচ্ছে—সব দায়দেনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে ব্যবহার করার মতো যে রিজার্ভ থাকে সেটি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমার পাশাপাশি মোট রিজার্ভের পরিমাণও কমেছে। গত জুন শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮২ কোটি ডলার। গত জুলাই শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ কোটি ডলারে। সেই হিসাবে মোট রিজার্ভ কমেছে ৯০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, সার ও খাদ্যসহ সরকারি আমদানির দায় পরিশোধে প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি জুলাইয়ে প্রবাসী আয়ও জুনের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণে রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুটি উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। এই দুই খাত থেকে আয় কমলে তাতে রিজার্ভও কমে যায়।

এদিকে রিজার্ভের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ কমেছে ৩৮১ কোটি ডলার। গত বছরের জুলাই শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৭৩ কোটি ডলার। গত মাস (জুলাই) শেষে সেটি কমে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী গত ১০ জুলাই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের ঘরে নেমে আসে। শিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর ওই দিন রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলারে। আর জুলাই শেষে সেটি ২ হাজার ৪৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *